পরীমনির সৌন্দর্যকে শিল্পসৃষ্টির পথে এগিয়ে নেয়নি। এই পরিণতির সেটাই হলো প্রধান কারণ
পরীমনির সৌন্দর্যকে শিল্পসৃষ্টির পথে এগিয়ে নেয়নি। এই পরিণতির সেটাই হলো প্রধান কারণ
মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিয়ে সারা দেশে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়। গণমাধ্যমগুলোর ৯০% মাতাল,মন্ধ হয়ে পরীমনিরকে জরিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেই যাচ্ছে।
![]() |
চিত্রনায়িকা পরীমনি |
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোরগোল (ভাইরাল) পরীমনি। মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড চলছে চিত্রনায়িকা পরিমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রে এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে র্যাবের কাছে।
পরীমনির তালমাতাল ও মাদকাসক্ত জীবনের সাথে জরিয়ে আছে দেশবাসী।
এমন সময় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা, কাজী হায়াৎ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার গরিব ঘরের স্মৃতি নামের মেয়েটিকে কারা পরীমনি বানিয়েছে? কারা তাকে মাদকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে? পিরোজপুরের স্মৃতি ওরফে পরীমনি ঢাকায় আসার আগে কখনো কি হুইস্কি, বিয়ার, শিভাস রিগ্যাল, রেড লেবেল, ভদকা—এসবের নাম শুনেছিলেন?’
![]() |
চিত্রনায়িকা পরীমনি |
গণমাধ্যমে কাজী হায়াৎ জানিয়েছেন, ‘আসলে পরীমনির সৌন্দর্যই পরীমনির শত্রু। এ কারণেই বেশির ভাগ মানুষ তার সান্নিধ্যে গেছেন। তারাই তাকে বিপদগামী করেছেন। তারা তাকে সুন্দর পথে চলতে দেয়নি।’
পরীমনির কোনো অভিভাবক ছিল না জানিয়ে এ নির্মাতা বলেন, ‘পরীমনিকে সুপথে এগিয়ে নেয়ার কেউ ছিল না। আর এই সুযোগটা অনেকেই নিয়েছেন। পাড়াগাঁয়ের মেয়ে স্মৃতিকে যারা উচ্চাভিলাসী, মাদকাসক্ত পরীমনি বানিয়েছেন তারা এখন কোথায়? তাদের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক। তাদের হাত বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে না কেন পুলিশ!’
পরীমনিকে কখনো কাছ থেকে দেখা হয়নি। নানা মাধ্যমে তাঁকে দেখার সুযোগ হচ্ছে। এত সুন্দরী মেয়ে অনেক দিন বাংলা সিনেমায় আসেনি। আসলেই তিনি পরী। সেই সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে যাঁরা তাঁর কাছে ভিড়েছেন, তাঁরাই পরীমনিকে বিপথে ফেলেছেন। পরীমনির সৌন্দর্যকে শিল্পসৃষ্টির কাজে লাগাননি। এই পরিণতির জন্য তারাই দায়ী।
Comments
Post a Comment