Posts

কুড়িগ্রামে সুবিমল মিশ্র, সন্দীপ দত্ত ও শাহেদ শাফায়েতের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

Image
  ছবির কবি: মিশু লিটল ম্যাগাজিন ‘বিন্দু’র উদ্যোগে কথাসাহিত্যিক সুবিমল মিশ্র, কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা সন্দীপ দত্ত ও কবি শাহেদ শাফায়েতের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ গত ৭ই এপ্রিল বিকেল পাঁচটায় কুড়িগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সদ্য প্রয়াত তিন সাহিত্যিক ও ঐদিন প্রয়াত প্রবীর ঘোষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়৷ বিন্দু’র সম্পাদক কবি সাম্য রাইয়ানের সঞ্চালনায় এসময় তিন সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম ও দর্শন বিষয়ে আলোচনা করেন কবি জ্যোতি আহমদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মানিক চৌধুরী, তীব্র কুড়িগ্রাম সাহিত্যপত্রের সম্পাদক সুশান্ত বর্মণ, ড্যাস ও মেঠোজন সম্পাদক ইউসুফ আলমগীর৷ এসময় বক্তাগণ তিন সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্মের নানা দিক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন৷ সমাপনী বক্তব্যে বিন্দুর পক্ষ থেকে সম্পাদক ঘোষণা করেন, বিন্দুর পরবর্তী মুদ্রিত সংখ্যা এই তিন সাহিত্যিক স্মরণ সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হবে৷ তিনি এই তিন সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম প্রসঙ্গে প্রবন্ধ আহ্বান করে আবারও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সভা সমাপ্ত করেন৷ উল্লেখ্য, কথাসাহিত্যিক সুবিমল মিশ্র গত ৮ই ফেব্রুয়া

মোকলেছুর রহমানের নতুন কবিতার বই ‘সব বৃক্ষ মহোদয় হয় না’

Image
  “সব বৃক্ষ মহোদয় হয় না বিষবৃক্ষও হয়!   আপন রন্ধ্রে অক্সিজেন শুষে, যাপিত পরিপার্শ্বে দৃষ্টির অন্তরালে ফণা তোলে। জিগাতে না ফোটে ফুল, না ঝোলে ফল   আরও বনষ্পতি হয়।  তথাপি অবিরাম নত-শিরে শ্রদ্ধা তোমায়, চিরায়ত স্বভাবে ছায়া তো দাও।” মোকলেছুর রহমানের জন্ম কুড়িগ্রামে৷ কবিতা তার অন্তরমহলের খড়কুটো। কবিতার জলহাওয়ায় তার অনিঃশেষ পথচলা এক যুগ ছাড়িয়েছে৷ অতঃপর কবি উদ্যোগী হলেন প্রথম কবিতার বই প্রকাশে৷ তার কবিতার জগৎ অন্তর্জগতের মনোবেদনা নিসৃত আলো আঁধারের সম্মিলন। কবি সম্পাদনা করেন ‘শ্বেতপত্র’ নামীয় লিটল ম্যাগাজিন৷ সব বৃক্ষ মহোদয় হয় না প্রথম কবিতার বই লেখক: মোকলেছুর রহমান প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত দাম: ১৯৫ টাকা প্রকাশক: ঘাসফুল, ঢাকা

নিমগ্ন দুপুরের নতুন থ্রিলার ‘হোয়াইট ম্যাজিক: লাইফ অব ডেথ’

Image
  "মৃত্যু আতংকে রাজধানীতে বন্ধ হয়ে আছে বিয়ে। বাসর রাতে মারা যাচ্ছে বর এবং মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছে কনে। আজ সকালে বনানী দুই নাম্বার রোডের একটি বাড়িতে একই রকমভাবে মিললো আরো একজন বরের লাশ। জানা গেছে, পরিবারটি তাদের নিকট আত্মীয় স্বজন এবং কিছু কাছের বন্ধু বান্ধব নিয়ে গতকাল রাতেই চুপিসারে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করে। এই নিয়ে গত ৩ মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই ভাবে ১৭ টি মৃত্যু ঘটলেও এর কোনো ব্যাখা পাওয়া যায়নি। এসব কেবলি সাধারণ মৃত্যু নাকি হত্যা! অস্পষ্ট রয়ে গেছে বিষয়। তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তরের ৩ মাস পার হলেও এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে কিছুই বলতে পারছে না পিবিআই। তাই দিন দিন জনমনে আতংক বেড়েই চলেছে। যেখানে বিয়েকে জীবনের নতুন শুরু বলা হতো সেখানে বিয়েই এখন প্রাণঘাতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৭ টি মৃত্যুর ৯ টিই ঘটেছে গত ২৫ দিনে। এই অবস্থায় রাজধানীর পাশাপাশি আতংকিত হয়ে পড়েছে সারাদেশের মানুষ। ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে কবে রহস্য উদঘাটন হবে, এমন প্রশ্ন ঘুরছে সবার মনে। আর এইসব রহস্য উদঘাটন করতে হলে পড়তে হবে নিমগ্ন দুপুরে ৬ষ্ট বই, সুপারন্যাচারাল মার্ডার মিস্ট্রি, হোয়াইট ম্যাজিক-লাইফ অব ডেথ।  বইটির প্রি- অর্ডার চ

ভ্রূণের আর্তচিৎকার' কবি কুসুম তাহেরার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ

Image
  ভ্রূণের আর্তচিৎকার' কবি কুসুম তাহেরার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ৷ যেখানে তিনি জোৎস্নামায়ায় ভেজা দাঁড়কাক হয়ে লিখে চলেছেন আজন্ম অপেক্ষার কবিতা। বিষের পেয়ালায় আত্মাহুতি দিয়েছেন পরিযায়ী সন্ধ্যায়৷ তিনি কবি। শব্দের বাহনে করে তিনি প্রবেশ করেন তৃষ্ণার্তদের হৃদয়ে। অবলোকন করেন তাদের আর্তি। উম্মাদনায় রুগ্ন ঘাসগুলোর ভেতর খুঁজে চলেন ভবিষ্যৎ সবুজ অর্থময় দিনান্তের। তিনি স্বপ্নদ্রষ্টা। মানুষকে স্বপ্ন দেখানোই তার কাজ। আর তাই উপেক্ষিত মায়ায়, ক্ষয়ে যাওয়া প্রেমেও তিনি সত্যিকারের সূর্য উদিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন৷ স্বপ্ন দেখেন, কামস্রোতে ইতিহাস সঞ্চারিত হবে মৌমাছির মৌবনে। কবি কুসুম তাহেরার বিশেষত্ব হল তিনি শব্দে কম্পন ধরিয়ে দিতে পারেন। শব্দের পারস্পরিক বিন্যাসে তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারেন। সেই তরঙ্গের ঠেউ কখনো পাঠকের হৃদয়ে এসে আছড়ে পড়ে। কখনো বা স্রোতস্বিনীর মতো বয়ে বয়ে চলে৷ কবি কুসুম তাহেরার এই কাব্যগ্রন্থে আমরা দেখতে পাই সৃষ্টির ব্যাথা, সৃষ্টি উম্মাদনা, এমনকি সৃষ্টির ধ্বংস। আর তাই তাকে বলতে হয়— শুকনো জমিতে মৃত শুক্রাণুরা মিছিল করুক। এবং তিনি উপমা হিসাবে গ্রহণ করেছেন প্রকৃতি। কেননা তিনি জানেন, মানুষ প্রকৃতি। এবং প

সাম্য রাইয়ানের নতুন কবিতার বই ‘হালকা রোদের দুপুর’

Image
সমকালীন বাংলা কবিতায় সাম্য রাইয়ান এমনই এক কবি যিনি তাঁর প্রতিটি কবিতার বইয়ে নিজেকে নবরূপে নির্মাণ করেন৷ নিজেকে ভাঙেন, গড়েন; গড়ে তোলেন এক নতুন জগৎ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম নয়৷  অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩-এ প্রকাশ হচ্ছে কবি সাম্য রাইয়ানের চল্লিশটি টানাগদ্য কবিতার সিরিজ ‘হালকা রোদের দুপুর’; যেখানে তিনি আনত স্বরে নির্মাণ করেছেন অভিনব চিত্রকল্প৷ আশ্চর্য তাঁর উপমা৷ এ বই পাঠককে নতুন কবিতার স্বাদ দেবে নিশ্চিত৷ বইটি প্রসঙ্গে কবি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “নিজেকে বিনির্মাণের এক চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে এ বই৷ আগের সকল ফর্ম, যেভাবে আমি লিখেছি; তা থেকে বেরিয়ে— নতুন অবয়ব— রোদের পোশাক ধারণ! হয়তো নতুন লাগবে এই সাম্যকে; লাগতে পারে৷ আবার মনে হতে পারে কিছুই হয়নি এসব, কী লিখেছে ছাইপাশ— এক্কেরে যা তা; যেমন মনে হয় হয়তো অনেকেরই, বারবার!” রোচিষ্ণু সান্যালের প্রচ্ছদে ২০০ টাকা মূল্যের বইটি প্রকাশ করছে ঘাসফুল প্রকাশনী৷ বইমেলার প্রথম দিন থেকেই ঘাসফুলের স্টলে পাওয়া যাবে৷

ফাতেমা ইরাজ'র কাব্যগ্রন্থ 'বন্যপ্রেম'

Image
ছোটবেলা থেকেই লিখতে ভালো লাগে। যা পেয়েছি সেটা কবিতার মধ্যে দিয়ে লিখে রাখতে ভালো লাগতো, যা পাইনি সেটা কবিতার মধ্য দিয়ে পেতে ভালো লাগতো । যেমন মায়ের স্নেহ পাইনি আমি। কিন্তু কবিতার মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করতাম মা এভাবে আদর করে,এভাবে বকে,ওভাবে খাইয়ে দেয় ইত্যাদি। আর এভাবেই খুব ছোটবেলায় লেখার শুরু আমার। দিন দিন বাড়তে থাকে লেখার ঝোঁক। দিন দিন বড় হতে থাকলাম আর লেখার ঝোঁকও বাড়তে লাগলো ২০১৯ সালে আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "নিঃশব্দ জবাব "আসে।  এরপর হুট করেই লিখে ফেললাম দুটো গান। দিন দিন উপলব্ধি করতে লাগলাম আমি বেশ রোমান্টিক স্বভাবের মেয়ে। তাই এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে অমর একুশে বইমেলায় নিয়ে এলাম এক ঝুড়ি রোমান্টিক কবিতার সমন্বয়ে "বন্যপ্রেম "  বইয়ের নাম : বন্যপ্রেম বইটা প্রকাশ হচ্ছে প্রিয় বাংলা প্রকাশনী থেকে। চার ফর্মার বই এটা। মোট ৬০টি কবিতা রয়েছে।  বইয়ের মুদ্রিত মূল্য -২০০টাকা অফার মূল্য -১৫০টাকা প্রি-অর্ডার করতে যোগাযোগ করুন ফাতেমা ইরাজ–https://www.facebook.com/profile.php?id=100004742865135&mibextid=ZbWKwL

মিজান খন্দকার সাহিত্য পুরস্কার’ পাচ্ছেন কবি শামীম সৈকত

Image
 মিজান খন্দকার সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হলেন কবি শামীম সৈকত৷ তিনি ১৯৯৫ সালে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন৷ ২০২১-এর বইমেলায় তার প্রকাশিত কবিতার বই ‘মেরুন সন্ধ্যালোকে’র জন্য এ পুরস্কার পেলেন এই তরুণ কবি৷ আগামী ২১ অক্টোবর ২০২২ (শুক্রবার) কুড়িগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে ‘তীব্র কুড়িগ্রাম’ পত্রিকার পক্ষ থেকে এ পুরস্কার কবির হাতে তুলে দেয়া হবে৷ পুরস্কার কমিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বক্তব্যে লেখা হয়েছে, “মেরুন সন্ধ্যালোকে’ কাব্যে প্রকৃতির অভিনব ও বর্ণিল চিত্রায়ন, শব্দের শৈল্পিক বিন্যাস এবং আবেগের অনাবিল উপস্থাপনের জন্য 'মিজান খন্দকার সাহিত্য পুরস্কারে' ভূষিত করা হল।” এ প্রসঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত৷ জীবনে প্রথমবার কবিতা লেখার জন্য পুরস্কার পাচ্ছি৷ আমি যখন খবরটি শুনি তখন রাত দশটা বাজে, চাঁদনী রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করছিলাম৷ এমন সময় পুরস্কারের সংবাদটি জানতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত৷’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মিজান খন্দকার স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে৷ ‘চিত্রিত স্বরূপের অনুভববোধ এবং অনুষঙ্গে